বিলিয়নেয়ার ওয়ারেন বাফেটের মজার কিছু তথ্য!

ওয়ারেন বাফেট
সোমবার , ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

একজন মার্কিন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব ওয়ারেন বাফেট। তাঁকে বিংশ শতকের সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওয়ারেন বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যান, সিইও এবং বৃহৎ শেয়ারহোল্ডার। তিনি ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। বাফেট ২০১১ সালে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন। পরের বছর টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘোষণা করে।ওয়ারেন বাফেট বিপুল ধনসম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও অত্যন্ত মিতব্যয়ী। তিনি তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশ জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য দান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিনিয়োগে বিশ্বের সফলতম ব্যক্তির কথা ধরলে ওয়ারেন বাফেটের কথা বলতে হবে। তিনি শুধু ২০১৩ সালেই ১২.৭ বিলিয়ন ডলার কামিয়েছেন। কিন্তু কিভাবে তিনি এ টাকা আয় করলেন? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। এ লেখায় থাকছে তার বিষয়ে কিছু তথ্য।
১. ওয়ারেন বাফেট তার ৫০তম জন্মদিনের পর কামিয়েছেন ৯৯ ভাগ অর্থ। তিনি ৬৩.৩ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছেন, যার মধ্যে ৬২.৭ বিলিয়নই তিনি কামিয়েছেন ৫০তম জন্মদিনের পর।
২. শেয়ারবাজারে বাফেটের বিনিয়োগকৃত অর্থ থেকে লাভ কামানোর রেকর্ড সবচেয়ে লম্বা।
৩. বাফেটের মোট সম্পদের মূল্য ৬৩.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ঘানা ও কম্বোডিয়ার মোট জিডিপির চেয়েও বেশি। এতে তিনি বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তির মর্যাদা পেয়েছেন।
৪. ২০১৩ সালে বাফেট প্রতিদিন ৩৭ মিলিয়ন ডলার করে উপার্জন করেছেন। জেনিফার লরেন্স এক বছরে যা উপার্জন করেছেন তার চেয়েও এ অর্থ বেশি।
৫. বাফেটের এক ঘণ্টার উপার্জন দিয়ে নিউ ইয়র্কের ছয়জন কলেজ শিক্ষার্থীর টিউশন ফি পরিশোধ করে দেওয়া সম্ভব।
৬. ১৯৪১ সালে বাফেট প্রথম শেয়ারমার্কেট থেকে শেয়ার কেনেন। সে সময় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলছিল আর পার্ল হারবার আক্রান্ত হয়েছিল। আর এতে কমে গিয়েছিল শেয়ারের দাম।
৭. বাফেট তার জীবনে ২০ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন।
৮. সম্প্রতি রিনিউয়েবল এনার্জিতে তিনি তার বিনিয়োগ দ্বীগুণ করতে আগ্রহী হয়েছেন। এতে মোট যে অর্থ খরচ হবে, তা দুবাইয়ের ৪৬টি বুর্জ আল আরব হোটেল বিল্ডিং নির্মাণের সমান। বুর্জ আল আরব হোটেল বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।
৯. ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের এক ব্যক্তি ২.২ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে বাফেটের সঙ্গে লাঞ্চ করার জন্য। এ অর্থ দিয়ে ৯,৭৪৬ শিক্ষার্থীকে ক্যালকুলাস বই সরবরাহ করা যেত।
১০. ওয়ারেন বাফেটের প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে। এ প্রতিষ্ঠানে ১৯৭০ সালে এক হাজার ডলার বিনিয়োগ করলে তা এখন ৪.৮৬ মিলিয়ন ডলার হতো।