অবশেষে জ্বালানী তেলের দাম কমানো হয়েছে। ডিজেল, কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ৩ টাকা ও অকটেন, পেট্রোলে ১০ টাকা কমানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোন দেয়ার পর আজ রোববার জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জ্বালানি বিভাগ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আজ রোববার মধ্যরাত থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
ডিজলে ও কোরোসিন ৬৮ টাকা থেকে লিটার প্রতি তিন টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়েছে। ডিজেল ও কোরোনিস গড়ে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছে। পেট্রোল ৯৬ টাকা থেকে ১০ টাকা কমিয়ে ৮৬ টাকা অর্থাৎ ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং অকটেনে ৯৯ টাকা থেকে ১০ টাকা কমিয়ে ৮৯ টাকা অর্থাৎ ১০ দশমিক ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, তেল সবচেয়ে বেশি ৪৫ শতাংশ ব্যবহৃত হয় পরিবহন খাতে। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে ২৫ শতাংশ, কৃষি খাতে ১৯ শতাংশ, শিল্প খাতে ৪ শতাংশ এবং গৃহস্থালি ও অন্যান্য খাতে ৭ শতাংশ।
দেশে সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয় ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ১২০ থেকে ১২৫ মার্কিন ডলারে ওঠানামা করছিল। তখন দেশে দাম বাড়িয়ে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬, ডিজেল ও কেরোসিন ৬৮ এবং ফার্নেস অয়েল ৬০ টাকা করা হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে ২৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিগত ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অব্যাহতভাবে কমতে শুরু করে। প্রায় দুই বছর ধরেই জ্বালানি তেলে লাভ করেছে বিপিসি। বিপিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জ্বালানি তেল বিক্রিতে তারা লাভ করেছে ১০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) প্রথম তিন মাসে মুনাফা হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণ বলছে, জ্বালানি তেলের দাম আগামী বছরগুলোতে বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। বলা হচ্ছে, জ্বালানি তেল সমৃদ্ধ দেশগুলো বাজেট ঘাটতি মেটাতে বেশি বেশি জ্বালানি বিক্রি করছে।
এরআগে গত ৩১ এপ্রিল ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটারে ১৮ টাকা কমিয়ে ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকা করা হয়। তখনই জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী অন্য সব ধরনের জ্বালানি তেলের দামও কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এদিকে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলে পরিবহন ভাড়াও সেই হারে কমানো হবে বলে জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সাধারণ মানুষ এখন পরিবহন ভাড়া কতকুটু কমে সেদিকে তাকিয়ে আছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন