চলতি বছরেই ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ রবিবার ইন্সটিটিউট অব কস্ট ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সভাপতি আরিফ খানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অর্থমন্ত্রীর সাথে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আইসিএমএবির সাবেক সভাপতি এম. আবুল কালাম মজুমদার, সহ-সভাপতি জামাল আহমেদ চৌধুরী, সচিব এম. আবদুর রহমান খান, কোষাধ্য ড. স্বপন কুমার বালা এবং নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুব উল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কোম্পানির নীরিক্ষা প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর লক্ষে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং বিল-২০১৫ সংসদে পাস করা হয়। পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে তা কার্যকর হয় এবং একই তারিখের বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
এ আইন বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন ও মনিটরিংয়ের জন্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল গঠন করার কথা ছিল। আইন অনুসারে ১২ সদস্যের সমন্বয়ে এফআরসি গঠিত হবে। সরকার এর চেয়ারম্যান মনোনীত করবে। সদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, ইনস্টিটিউট অব কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি থাকবে।
জানা গেছে, এফআরসির কার্যক্রম শুরুর পর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষার জন্য এ সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ও কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টদেরকে। এ সংস্থা নীরিক্ষকদের কার্যক্রম মনিটরিং করবে। কোনো নীরিক্ষক আইন লংঘন বা কোনো ধরনের হিসাব কারসাজিতে যুক্ত থাকলে তার লাইসেন্স বাতিলসহ জরিমানা করতে পারবে এফআরসি।
এছাড়া অপরাধের মাত্রা অনুসারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা যাবে। এফআরসি গঠিত হলে আর্থিক প্রতিবেদন নীরিক্ষায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। নীরিক্ষকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে মুনাফা বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেখানোর সুযোগ কমে গেলে এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে কারসাজি অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন