বিদ্যুতের জন্য পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলবে সরকার

মার্কেট ট্রেন্ড বিডি ডটকম রিপোর্ট
সোমবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজার থেকে সরকার টাকা তুলবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

গতকাল বোরবার রাজধানীতে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে ‘বিদ্যুৎ খাতে অর্থায়ন’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এ সভার আয়োজন করে।

বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার বিদেশি অর্থায়নের পাশাপাশি পুঁজিবাজার থেকেও অর্থ সংগ্রহ করতে আগ্রহী।

ডিএসইর সাবেক সভাপতি ফিরোজ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডিবিএ প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু, ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, সিএসইর চেয়ারমান ড. আব্দুল মজিদ।

নসরুল হামিদ বলেন, তিন বছরে আমরা ১২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছি। সামনে আরও চুক্তি হবে। সরকার দেশের বিদ্যুৎ উন্নয়নের জন্য যত প্রকল্প হাতে নিচ্ছে; তা সব পুঁজিবাজারের অনূকূলে। সব ধরনের প্রকল্পের জন্য পুঁজিবাজার থেকে সরকার অর্থ সংগ্রহ করতে চায়। তবে এজন্য ডিএসইকেও এগিয়ে আসতে হবে।

এ সময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তিতাস গ্যাসের ট্যারিফ কমানোতে বিনিয়োগকারীদের যে লোকসান হয়েছিল, তা লাঘব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

শেয়ারবাজার থেকে বিদ্যুৎ খাতে অর্থায়ন নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ কখনও মন্ত্রণালয়ে যায়নি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ বোর্ডের মতো বসে থাকলে এ কাজ কখনো হবে না। বিনিয়োগ বোর্ড মনে করে অন্যরা তার কাছে বিনিয়োগ নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আগামী বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের জন্য ৫-১০ হাজার কোটি টাকার কম বরাদ্দ রেখে শেয়ারবাজার  থেকে টাকা সংগ্রহ করা হবে বলে জানান তিনি।

সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল  হোসেন বলেন, আমরা এমন বাজার গড়ে তুলতে চাই যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে। জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধন বিবেচনায় আমাদের বাজার এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। আমরা তা বাড়াতে চাই। পুঁজিবাজারের নানা সংস্কারের কথা উল্লেখ করে এম খায়রুল হোসেন বলেন,  বিএসইসির সক্ষমতা বেড়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক ফোরামে বিএসইসি ‘এ’ ক্যাটারিতে উন্নীত হওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে।

তিনি বলেন, সারা দেশকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে ব্যাপক বিনিয়োগ দরকার। পুঁজিবাজার এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। সরকার চাইলে আগামী ৫ বছরে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের জন্য পুঁজিবাজার থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার জোগান দেওয়া সম্ভব।

অনুষ্ঠানে নিবন্ধ উপস্থাপনকালে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফ খান বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি হলে তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটর কমিশন তিতাস গ্যাসের কমিশন কমানোর ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনভাবে সিদ্ধান্ত  নেওয়ায় বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনেছিল। এ ধরনের পদক্ষেপ পুঁজিবাজারকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।