চার অর্থবছর পর রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

মার্কেট ট্রেন্ড বিডি ডটকম রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার , ১৪ জুলাই ২০১৬

চার অর্থবছর পর দেশে রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। রেমিট্যান্স কমলেও সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি হয়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ।

গত অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। আয় দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪২৪ কোটি ডলার। এ আয় আগের অর্থবছর (২০১৪-১৫) থেকে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি।

ইপিবির প্রতিবেদন অনুয়ায়ী , মূলত: তৈরি পোশাকের রফতানি আয়ের ওপর ভর করেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিন হাজার ৪২৪ কোটি ডলারের মধ্যে পোশাক থেকেই এসেছে দুই হাজার ৮১০ কোটি ডলার।

এদিকে রফতানি প্রবৃদ্ধি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বাণিজ্য বিশ্লেষকরা চলতি অর্থবছরে এ খাতে বেশ কিছু ঝুঁকি দেখছেন।

তারা বলছেন, পোশাক প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্ক ছাড়িয়ে যাওয়া এবং গোটা রফতানি প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছানো অবশ্যই একটা ভালো লক্ষণ। তবে এ ধারা অব্যাহত থাকা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া, বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কমে আসার পূর্বাভাস, মুদ্রা বিনিময় হারের প্রতিকূলতা ও রফতানি প্রতিযোগী বিভিন্ন দেশ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের কাছাকাছি চলে আসাসহ নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

আবার অভ্যন্তরীণভাবে দেশের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনাও বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে মাথায় রেখে পরিকল্পনা নিতে হবে।

ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাকের ওভেন থেকে আয় এসেছে ১ হাজার ৪৭৪ কোটি ডলার। এ খাতের নিট থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৩৬ কোটি ডলার। পোশাক রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ হার ছিল ৪ শতাংশ। অবশ্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরের হার ছিল ১৪ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাকের বাইরে কয়েকটি বড় পণ্যের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। হিমায়িত খাদ্যের রফতানি কমেছে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ, চিংড়ির কমেছে ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ, চামড়ায় কমেছে ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ, পাটের বস্তা ও ব্যাগে ১২ দশমিক ১৩, চায়ে ৩০ দশমিক ৪২ ও প্লাস্টিক রফতানি আয় কমেছে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

তবে রফতানি বেড়েছে কাঁচাপাটে ৫৫, ওষুধে ১৩, চামড়াজাত পণ্যে ৫৬, জাহাজে ২৫ ও ফার্নিচারে ১৯ শতাংশ।