শিল্প-বাণিজ্য জগতের প্রাণপুরুষ স্যামসন এইচ চৌধুরী

মার্কেট ট্রেন্ড বিডিডটকম রিপোর্ট
শুক্রবার , ০৫ জানুয়ারী ২০১৮

স্যামসন এইচ চৌধুরী। স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান। এদেশের শিল্প-বাণিজ্য জগতের প্রাণপুরুষ। আজ শুক্রবার তার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এই গুণী মানুষটিকে নিয়ে লিখেছেন তার নাতনি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল’র ডেপুটি ডাইরেক্টর আনিকা চৌধুরী…

বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্য জগতের প্রাণপুরুষ স্যামসন এইচ চৌধুরী। তিনি রেখে গেছেন গৌরবের অনেক প্রতিষ্ঠান, একই সঙ্গে কাজের ধারার সুউচ্চ মান। সঙ্গত কারণেই তিনি কেবল স্মৃতিতে নয়; প্রতিনিয়ত বিরাজ করেন প্রেরণার উৎস ও পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার জন্ম হয়েছিল গোপালগঞ্জের আরুয়াকান্দিতে। কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা শেষ করে পাবনা জেলার আতাইকুলায় ছোট একটি ফার্মাসিকে ঘিরে তার কর্মজীবনের শুরু। ১৯৫৮ সালে চার বন্ধু মিলে স্থাপন করেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এমন নাম কেন, সেটা বলতে গিয়ে তিনি বারবার বলেছেন অ্যাকুরেসি ও পারফেকশনের কথা, গুণমানে উৎকর্ষের কথা। প্রয়াণ দিবসে তাকে স্মরণ করতে গিয়ে তাই এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি- এ ধারা এগিয়ে নিতে আমরা সর্বদা যত্নবান থাকব।

আমার বেড়ে ওঠা তার স্নেহ-যত্ন-মমতায়। একই বাড়িতে থেকেছি। বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় তাকে বলে গেছি, ফেরার পরও দেখা করা চাই। একদিন ব্যত্যয় ঘটলেই বলতেন- কাল আসনি কেন? সঙ্গে থাকত অনুযোগ ও খানিকটা অভিমানের সুর- আমি তো বুড়ো হয়ে গেছি। বাড়িতে তিনি পারিবারিক পরিমণ্ডলে হাসি-আনন্দে থাকতে পছন্দ করতেন। আর অফিস বা কর্মস্থল ছিল গর্বের জায়গা। অফিসে আসতেন পরিপাটিভাবে, তাড়াহুড়ো করে বা অগোছালোভাবে কখনও গাড়িতে উঠে যেতে দেখিনি। পোশাক পছন্দ, চুল আঁচড়ানো সব বিষয়ের প্রতি ছিল মনোযোগ। এ জন্য কি বিলম্ব করতেন? মোটেই নয়। তিনি সময় মেনে চলতেন। তাকে ভয় পেতাম না, বরং সমীহ ও শ্রদ্ধা করতাম। তার কাছে যেতে, যে কোনো বিষয়ে আলোচনা এমনকি তর্ক করতেও কখনও সমস্যায় পড়িনি। কেবল পরিবারের সদস্যরা নয়, অফিসের সহকর্মী এমনকি অধস্তন ব্যক্তিরাও যে কোনো ধারণা নিয়ে তার সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারতেন। আবার নিজের মাথায় কোনো নতুন ধারণা এলে সেটাও অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতেন। তাদের মতামত শুনতেন। আপাতভাবে অতি তুচ্ছ বিষয় থেকে শুরু করে নতুন প্রযুক্তি, কৃষি, পরিবেশ- কত বিষয়েই না তার অপরিসীম আগ্রহ দেখেছি! সন্ধ্যার দিকে বাসায় এসে টেলিভিশনে খবর দেখতেন। সবার সঙ্গে গল্প করতেন। সংসারের খবর নিতেন। একই সঙ্গে চলত কাজের আলোচনা। তার মস্তিস্ক সর্বদা সচল থাকত নতুন কিছু করতে।

সেই ২০০০ সালের কথা। আমাজন. কম সবে যাত্রা শুরু করেছে। তারা বই বিক্রি করত। সিনেমা-সিডি সরবরাহ করত। তিনি আমার জন্য অর্ডার দিতেন। তরুণরা কী পছন্দ করে সেটা সব সময় খেয়াল রাখতেন। আবার ঠাট্টা করে বলতেন, তোমরা তরুণ ছেলেমেয়েরা যেসব সিনেমা পছন্দ কর, সেসব কি আমার ভালো লাগতে নেই? কথা বলার সময় এমনটি কখনও প্রকাশ করতেন না- তার অভিজ্ঞতা বেশি, জ্ঞানের পরিসর বিস্তৃত আর আমরা তেমন কিছু জানি না বা বুঝি না। আমাদের প্রজন্ম কী ভাবছে, সেটা জানতে চাইতেন। তার ছিল প্রখর দূরদৃষ্টি, সময়ের সঙ্গে মানিয়ে চলার আগ্রহ। পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিতেন। বলতেন, জ্ঞানার্জনের জন্য সবকিছু কর। আমি যেন পিএইচডি করি, সে জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। স্কয়ারের কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছি; কিন্তু তার স্বপ্ন পূরণের বিষয়টি অবশ্যই আমার গভীর বিবেচনায় রয়েছে। আমার সৌভাগ্য যে, তার সঙ্গে একত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। হয়তো সবটা কাজে লাগাতে পারিনি বলে অতৃপ্তি রয়েছে। স্কয়ারে যোগ দিয়ে প্রথমে কয়েক মাস বসেছি অন্য ফ্লোরে। এক পর্যায়ে তার পাশের কক্ষে আমার বসার ব্যবস্থা হয়। আমি কী কী কাজ করেছি, সেটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাইতেন। এ সময়ে পরামর্শ দিতেন, আবার বিভিন্ন বিষয়ে আমার মতও জানতে চাইতেন।

তার কাজের ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। এত বড় প্রতিষ্ঠান চালাতেন! প্রায় ৫০ হাজার কর্মী কাজ করছে এখানে। কিন্তু কোনো চাপ তিনি অনুভব করছেন বলে মনে হতো না। অফিসে খাবার বা বিশ্রামের সময়েও দেখেছি কাজ নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলছেন। সবার খোঁজ নিতেন। বাসায় ফোন করে দাদি ও অন্যরা খেয়েছে কি-না, সেটা জানতে চাইতেন। কাজের পাশাপাশি পরিবারকে সময় দেওয়াটা তার কাছে কেবল দায়িত্ব পালন নয়, ছিল উপভোগের বিষয়। দাদিকে কখনও বলতে শুনিনি- স্যামসন এইচ চৌধুরী তার প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করেছেন কিংবা পরিবার ও স্বজনদের প্রতি খেয়াল রাখেননি।
দাদুর সঙ্গে দেশের বাইরে গিয়েছি। তিনি খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন। দোকানে গিয়ে পছন্দের দ্রব্য কিনতেন এবং অন্যদের দিয়ে আনন্দ পেতেন। শিল্প-বাণিজ্যের যাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল, তাদের জন্যও কিনতেন। দাদি কখনও কখনও বেশি খরচ নিয়ে অনুযোগ করতেন। কিন্তু দাদুকে দেখেছি- জীবনসঙ্গিনীর পছন্দের জিনিসটি বেছে নিতে কখনও ভুল করেননি। তার পছন্দের তালিকায় বিশেষভাবে ছিল ঘড়ি ও ক্যামেরা। আমি তার কাছ থেকে একটি ঘড়ি উপহার পেয়েছি, যা বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। তিনি ছবি তুলতে পছন্দ করতেন। এ জন্য নতুন মডেলের ক্যামেরা সংগ্রহ করতেন।
তিনি মানুষের জন্য কত কিছু করেছেন, যা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সর্বদা অনুসরণ করতেন সেই অনুশাসন- তোমার বাম হাতও যেন জানে না যে ডান হাত কারও প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছ। শৈশব থেকেই অন্যের জন্য কিছু করার বাসনা তার মধ্যে কাজ করত, সেটা নানাভাবে শুনেছি। মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে কাজের সুযোগ সৃষ্টি। কারণ চাকরি পেলে হাতে অর্থ আসবে, আর অর্থ থাকলেই তা দিয়ে দোকান থেকে পণ্য কেনা যাবে। এ আমদানির মাধ্যমে জোগান বাড়ানো যেতে পারে। দেশের প্রতিষ্ঠানেও উৎপাদিত হতে পারে। দেশেই যেন নানাবিধ পণ্য উৎপাদন হয়, তার প্রতি তিনি বিশেষভাবে মনোযোগী ছিলেন। স্কয়ার যে ডালপালা মেলেছে, সেটা দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে তারই চিন্তার ফসল।

স্কয়ারের সঙ্গে ৫০ হাজার কর্মীর প্রত্যেকে ছিল তার কাছে সন্তানের মতো। সব সময় বলতেন, এটাই আমার পরিবার। আমরাও বেড়ে উঠেছি এমন একটি বটবৃক্ষের ছায়াতলে। স্যামসন এইচ চৌধুরীর যে দিকটি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে, তা হলো- প্রতিষ্ঠানকে সবার ওপরে স্থান দেওয়া, এখানকার প্রত্যেককে আপন করে নেওয়া। আমি বাইরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছি। কিন্তু বলতে পারেন, দাদুর টানেই তার সঙ্গে কাজ করার প্রবল আগ্রহ আমাকে দেশের মাটিতে টেনে এনেছে। জানি যে তার মতো হওয়া সহজ নয়; কিন্তু তাকে প্রেরণায় রেখেই ফিরে আসা। এভাবেই তার স্বপ্ন পূরণের পথে আমি এগিয়ে যেতে পারব।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ছিল। ওষুধ শিল্পে এটা অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। আমরা আফ্রিকার কেনিয়ায় ওষুধ তৈরি করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এ জন্য বিশেষ অনুমতি দিয়েছে। আগামী বছর কেনিয়ায় কারখানাটি উৎপাদনে যাবে। সেখান থেকে আফ্রিকার অন্যান্য দেশেও ওষুধ রফতানি করা যাবে বলে আশা করছি।

স্কয়ারের টেক্সটাইল আছে, হাসপাতাল আছে; ফুড অ্যযান্ড বেভারেজ আছে, প্রসাধনী আছে। কোম্পানির পরিকল্পনায় হোটেল স্থাপন ছিল। কিন্তু হাসপাতালই প্রাধান্য পায়। দেশের অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বিশ্বের নানা দেশে যায়। কিন্তু আমরা দেশেই কেন সে সুবিধা তৈরি করতে পারি না? এ প্রেরণা থেকেই গড়ে উঠেছে স্কয়ার হাসপাতাল, যা এখন চিকিৎসক ও রোগীদের কাছে আস্থার প্রতীক। আমার নিজের আগ্রহ আছে স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তি নিয়ে। দাদু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে জানতেন। এটাই আমার কাছে প্রেরণা। তার কৃষি নিয়ে আগ্রহ ছিল। টিস্যু কালচার নিয়ে আমাদের সঙ্গেও কথা বলতেন। মানুষের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্য। এর পর্যাপ্ত জোগান চাই। তিনি জানতেন, বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারলে সেটা সহজ হয়ে যায়। বাংলাদেশে কৃষি খাতে উন্নতমানের বীজ নিয়ে তিনি ভেবেছেন। পরিকল্পিতভাবে এটা করা চাই। কারণ এখানে রয়েছে অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার বাজার। তিনি আধুনিক ওষুধ কোম্পানি করেছেন। একই সঙ্গে ভেষজ ওষুধকেও গুরুত্ব দিতেন। প্রাচীনকালে শুধু নয়; হাল আমলেও এ চিকিৎসা পদ্ধতি বিজ্ঞানসম্মত হিসেবে স্বীকৃত। এ ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম বা অনেক ক্ষেত্রে নেই। তাকে বাসক পাতা নিয়ে কাজ করতে দেখেছি। বিভিন্ন ওষুধের গুণমান যেন ঠিক থাকে সেদিকে তিনি সর্বদা মনোযোগী থাকতেন। প্রকৃতপক্ষে তার এ মনোভাবের কারণেই স্কয়ারের পণ্য এখন আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।

ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি তিনি জাতীয় দায়িত্ববোধও ভুলে যাননি। একাধিকবার তিনি দেশের সর্বোচ্চ করদাতার স্বীকৃতি পেয়েছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তাকে সেরা করদাতার সম্মান দিয়েছে।

স্বাধীনতার পরপর বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। ১৯৭৪ সালে দেশের কোনো কোনো অংশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এসব তাকে ব্যথিত করেছিল। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্রের সাফল্যের সংবাদ জেনে তিনি তাদের চিঠি দিয়ে অভিনন্দন জানান। বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য যারা কাজ করে চলেছেন, তাদের তিনি আপনজন মনে করতেন। স্কয়ার প্রতি বছর দু’জন তরুণ বিজ্ঞানীকে স্পন্সর করছে। তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্যই এ উদ্যোগ।

তিনি সেবামূলক কাজকে গুরুত্ব দিতেন। স্কয়ারের ৫০ হাজার কর্মীর জন্য প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থাকে আমরা অনন্য উদ্যোগ হিসেবে নিতে পারি। শিক্ষার প্রসার ও মান বাড়ানোর প্রতি ছিল তার বিশেষ আগ্রহ। তিনি নিজে জ্ঞান অর্জনকে প্রাধান্য নিতেন। আমরা প্রতিদিন এটা উপলব্ধি করতাম। শৈশব থেকেই জেনেছি, পড়াশোনার স্থান সবকিছুর ওপরে। তিনি বলতেন, জ্ঞান হচ্ছে শক্তি। এটা অর্জন করতে হয়। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে- জানার কোনো শেষ নেই। যতই পড়বে, ততই জানবে- এ বিশ্বাস ছিল একেবারে মজ্জাগত। এটা নিজের ক্ষেত্রে অনুসরণ করতেন, অন্যদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে দিতে চাইতেন। শিক্ষার প্রসারে সহায়তা করতে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের জন্য ৬টি হোস্টেল নির্মাণে অর্থ দিয়েছেন। অনেক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা ব্যয় তিনি বহন করেছেন। একটি ঘটনা বলি- দাদু-দাদির রান্নার কাজে যে ব্যক্তি সহায়তা করতেন তার সন্তান শিগগিরই বিএমডিসি থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করবে। এর পেছনে স্যামসন চৌধুরীর আন্তরিক সহায়তা এমনকি পরিবারের সদস্যরাও সবাই জানত না।
তিনি কৌতুকপ্রিয় মানুষ ছিলেন। রসবোধ ছিল প্রখর। একই সঙ্গে বুদ্ধিদীপ্ত ও ক্যারিশম্যাটিক। চারপাশের সবাইকে তিনি হাসি-আনন্দে ভরিয়ে রাখতে পারতেন। দাদু ও দাদির সঙ্গে বেড়াতে গেলে আমি হোটেলে তাদের কক্ষেই থাকতাম। একবার এক হোটেলে অবস্থানকালে দাদু স্লিপিং স্যুট পরে বিছানায় শুয়ে পড়েন। কিন্তু এ সময়ে শার্টের বোতাম খোলা ছিল। দাদি কৌতুক করে তাকে বলেন, খোকনের বাবা, জামার বোতাম লাগাও; ঠাণ্ডা লেগে যাবে। দাদুর তাৎক্ষণিক জবাব ছিল- খোকনের মা, সিনেমার হিরোদের দেখ না- তারা শার্ট খোলা রাখে। আমি তো আরও বড় হিরো। সে জন্যই আমি ঘুমানোর সময়ে শার্ট খোলা রাখি।

প্রকৃতই স্যামসন এইচ চৌধুরী, আমার দাদু আমার কাছে গ্রান্ড হিরোদেরও হিরো। এমন একজন মহানুভব ব্যক্তির উত্তরাধিকারের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত, একই সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি যেখানেই থাকুন, আমাদের জন্য প্রেরণা হয়ে আছেন এবং থাকবেন।
সৌজন্যে: দৈনিক সমকাল