আজ ব্যাংক খাতে ৩১৫ কোটি টাকা লেনদেন

মার্কেট ট্রেন্ড বিডিডটকম রিপোর্ট
বুধবার , ০৮ নভেম্বর ২০১৭

আজ বুধবারও পুঁজিবাজারে দাপট দেখিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাত। এ দুটি খাতের প্রভাবেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে।

ব্যাংকিং খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রায় ৬৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। তবে অন্য খাতগুলোর দর সংশোধন হয়েছে। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, আজ বাজারে ১১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। আর দর কমেছে ১৬৩টির। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমলেও ডিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় বেড়ে হয়েছে ৭৬৫ কোটি টাকা। ডিএসই লেনদেনে সবচেয়ে বেশী অবদান ছিল ব্যাংকিং খাতের। এ খাতের কোম্পানিগুলোতে ৩১৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের সাড়ে ৪১ শতাংশ। আজ ডিএসইতে সর্বোচ্চ ৩৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে সিটি ব্যাংকের।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দর গায়ের দরের (ফেসভ্যালু) কাছাকাছি অবস্থান করছে। কয়েকটি ব্যাংকের শেয়ারের দর ফেসভ্যালুর নীচেও নেমে এসেছিল। ফলে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকের শেয়ারের দিকে ঝুঁকেছেন। গত ৬ মাসের মধ্যে প্রায় সব ব্যাংকের শেয়ারের দার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকিং সেক্টরে মালিকানা পরিবর্তন ও ব্যাংকে পারিবারিক আধিপত্য নিয়ে আসতে অনেকে ব্যাংকের শেয়ার ক্রয় করছেন। এরমধ্যে অনেকে ব্লক মার্কেটে শেয়ার কিনলেও কেউ কেউ মূল মার্কেট থেকেও শেয়ার কিনছেন। ফলে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে কিছুটা ক্রয়ের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। যা এ খাতের শেয়ারে দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

তবে আয়ের তুলনায় সব ব্যাংকের শেয়ারের দাম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে এমটা মনে করেন না মার্চেন্ট ব্যাংকাররা। তারা বলছেন, কিছু ব্যাংকের শেয়ারের দাম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেলেও এখনো কিছু ব্যাংক রয়েছে বিনিয়োগযোগ্য। তাই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, মানাফার হার এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করতে হবে।