দাম বৃদ্ধির শীর্ষে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি

মার্কেট ট্রেন্ড বিডিডটকম রিপোর্ট
রবিবার , ০৫ নভেম্বর ২০১৭

আবারও পুঁজিবাজারে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে জেড ক্যাটাগরির কয়েকটি কোম্পানি। আজ রবিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক ও লেনদেন কমলেও শেয়ারের দাম বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি।

মন্দ হিসেবে বিবেচিত এই ক্যাটাগরির শেয়ারের দাম প্রায় প্রতিদিনই দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসাকে বাজারের জন্য আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আজ ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ হিসাব বছরে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

দর বৃদ্ধির দিক থেকে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল জেড ক্যাটাগরির আরেক কোম্পানি ইমাম বাটন। এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

শেয়ারের দাম বৃদ্ধির তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরির মুন্নু সিরামিকস। কোম্পনিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে থাকা জেড ক্যাটাগরির জীলবাংলাও ছিল শীর্ষ দর বৃদ্ধির তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো কারণ ছাড়াই জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে বাজারের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যা প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা যায়। এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কারসাজি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।

এদিকে আজ ডিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৭২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। লেনদেন হয়েছে ৫৩৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যা আগের কর্মদিবসের চেয়ে ২০ শতাংশ কম।

লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ব্যাংকিং খাতের। এ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ১১৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ শতাংশেরও বেশি।

প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৮৭ কোটি টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ।

আর ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ শতাংশ।

আজ বাজারে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বস্ত্র খাতসহ বেশিরভাগ খাতের কোম্পানিতেই দর সংশোধন হয়েছে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৮৮ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৮২৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ার।