ব্রোকারেজ হাউসগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সেবা মাশুল কমিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩-এর চূড়ান্ত সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে।
সংশোধনীতে নতুন ইন্সট্রুমেন্ট সংযোজনসহ বিভিন্ন ফি পুনর্বিন্যাস করা হয়। পাশাপাশি বিও হিসাব রক্ষণাবেণের বার্ষিক ফি ৫০ টাকা কমিয়ে ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জনমত জরিপ শেষে সংশোধনীটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, খসড়ায় মার্কেট মেকারদের ইটিএফ ও বেমেয়াদি ফান্ড লেনদেনের ক্ষেত্রে সিডিবিএল ফি প্রতি লাখে সাড়ে ১২ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা সাড়ে ৭ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে বিও হিসাব রণাবেণের ফি হিসেবে বছরে ৫০০ টাকা নেয় সিডিবিএল। সংশোধনীতে তা ৫০ টাকা কমিয়ে ৪৫০ টাকা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিও হিসাবের ফি থেকে সরকার ২০০ টাকা, সিডিবিএল ১০০, সংশ্লিষ্ট ডিপি ১০০ ও বিএসইসি ৫০ টাকা পাবে। আগে বিও হিসাবের বার্ষিক ফি থেকে সিডিবিএল ১৫০ টাকা পেত।
জানা গেছে, বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছ থেকে শেয়ারের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্যের ওপর প্রতি ১ লাখে ১৫ টাকা হারে সেবা মাশুল নেয় সিডিবিএল। সংশোধনীতে এ হার সাড়ে ১২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রত্যাহার করা হয়েছে ন্যূনতম ফি। সেকেন্ডারি বাজারে ইটিএফ ইউনিট ও বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেনের ক্ষেত্রেও একই হারে ফি গুনতে হবে ব্রোকারদের।
এদিকে করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার ও অন্যান্য ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজে প্রতি লেনদেনে ২৫ টাকা ও সরকারি সিকিউরিটিজে ১০ টাকা হারে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সংশোধনীতে একটি বিও হিসাব থেকে অন্য বিও হিসাবে শেয়ার স্থানান্তরেরে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ফি উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বিও হিসাব থেকে সিকিউরিটিজ ডেবিট/ক্রেডিট হলে তাৎক্ষনিকভাবে হিসাবধারীকে এসএমএস দেবে সিডিবিএল, এটিও ফি মুক্ত থাকবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন