মূলধনের সাড়ে তিন গুণ ব্যাংক ঋণ একমির

মার্কেট ট্রেন্ড বিডিডটকম রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার , ০৯ জুন ২০১৬

পরিশোধিত মূলধনের সাড়ে তিন গুণেরও বেশী ব্যাংক ঋণ নিয়ে শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরু করেছে একমি ল্যাবরেটরিজ। এরমধ্যে দীর্মেয়াদি ঋণ ৪৭২ কোটি ১১ লাখ টাকা ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ ৩০৯ কোটি ৯৮ লাখ। সবমিলিয়ে একমির ব্যাংক ঋণ ৭৮২ কোটি টাকা। অথচ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ২১১ কোটি টাকা।

গতকাল বুধবার ( ৮ জুন) কোম্পানিটির দর আগের কার্দিবসের তুলনায় কমলেও লেনদেনে ছিল এক নম্বরে।দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল একমির ৩০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার কিনতে লেনদেনের প্রথম ৩০ দিনে বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধা দিতে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। স্টক ব্রোকার্স, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এবং পোর্ট ফোলিও ম্যানেজারদের ঋণ সুবিধা না দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম সভায় কোম্পানিটিকে ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা আড়াই কোটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য; ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য। যার প্রতিটি শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ৮৫ টাকা ২০ পয়সা, বাকি ৪০ শতাংশ বা ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিযোগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য। এই শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ১০ শতাংশ কমে বা ৭৭ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য প্রস্তাব করা হয়।

আইপিও আবেদনের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে খরচ করবে।

একমির বিগত ৫ বছরের নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ০৭ পয়সা। আর ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছর অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য বা এনএভি ৭০ টাকা ৩৭ পয়সা।