দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যে আয় করেছে তার ৬০ ভাগই এসেছে ব্যাংকের সুদ থেকে। ডিএসই-এর আয়ের অন্যান্য খাতের মধ্যে ছিল লেনদেন ফি, কোম্পানির তালিকাভূক্তির ফি, হাওলা চার্জ ইত্যাদি।
ডিএসইর সমাপ্ত হিসাব বছরের আয়-ব্যয় বিবরণী পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা যায়।
আয়-ব্যয় বিবরণীতে দেখা গেছে, গেল অর্থবছরে ডিএসই মোট আয় হয়েছে ১৯৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এরমধ্যে ব্যাংক সুদ বাবদ আয় হয়েছে ১১৭ কোটি ৭০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ মোট আয়ের প্রায় ৬০ দশমিক ৬২ শতাংশই এসেছে সুদ থেকে। এ সুদের উৎস হলো সাধারণ এফডিআরের ৯০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, উন্নয়ন তহবিলের এফডিআরের ৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, বিল্ডিং ফান্ডের এফডিআরের ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকাসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেয়া হোম লোন এবং অন্যান্য ব্যাংক তহবিল।
এছাড়া ডিমিউচুয়ালাইজড এ স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন থেকে ফি বাবদ আয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৬৯ লাখ ৪ হাজার টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির ফি থেকে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। আর হাওলা চার্জ বাবদ আদায় হয়েছে ৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এগুলোই ছিল এ বছরে ডিএসইর আয়ের বড় খাত।
ডিএসইর সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হলো কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন। এ খাতে ব্যয় হয়েছে ২২ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া ডিএসইর ট্রেডিং সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ ফি বাবদ খরচ হয়েছে ৯ কোটি ৮৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এরমধ্যে ফ্লেক্সট্রেড এবং নাসডাক ওএমএক্স-এর বার্ষিক ফি সহ অন্যান্য সফটওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ ফি রয়েছে। এছাড়া বীমা প্রিমিয়ামের খরচ হয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। বিনোদন বাবদ খরচ হয়েছে ৩৬ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ডিএসইর ব্যয় ৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নীট আয় ১৩৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৫ পয়সা। এদিকে এ বছরের জন্য ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ ঘোষিত এ লভ্যাংশ প্রদানের জন্য ডিএসইকে রিজার্ভের অর্থ ব্যবহার করতে হবে।
গেল অর্থবছর শেষে ডিএসইর চলতি সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। বিনিয়োগ বাবদ রয়েছে ১ হাজার ১৭৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর নন কারেন্ট এসেট রয়েছে ৯০০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে ডিএসইর সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ২৯৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মোট দায় ১৮৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চলতি দায় ১৪৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
আপনার মন্তব্য লিখুন