জ্বালানির ঘাটতি মোকাবিলায় আগামী এপ্রিল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু হচ্ছে।এতে জ্বালানী ঘাটতি কমবে ঠিকই তবে গ্যাসের দাম বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে জ্বালানিসচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এলএনজি এলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই। এখনই প্রতি ইউনিট (এক হাজার ঘনফুট) গ্যাসের উৎপাদন ব্যয় নয় টাকার বেশি। ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আসতে শুরু করলে ব্যয় পড়বে প্রায় ১৪ টাকা। পরে আরও এলএনজি এলে দাম আরও বাড়বে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিটির কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুরুতে প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস এলএনজি থেকে পাওয়া যাবে। তাতে জ্বালানির ঘাটতি কমবে।সরকারের হিসাবে প্রতিদিন ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে শিল্প, বিদ্যুৎ, সার ও অন্যান্য উৎপাদন খাতে এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের সরবরাহ পাবে। এতে মোট জাতীয় উৎপাদনে ২ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা যুক্ত হবে। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১০ লাখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি আমদানি শুরু হলে গ্যাসের দাম কতটা বাড়বে, তা চূড়ান্ত করতে একটি কমিটি কাজ করছে। গ্যাসের দাম সবচেয়ে বেশি বাড়বে শিল্পে। বর্তমানে শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৭ টাকা ৭৬ পয়সা। এলএনজি গ্যাস আমদানি শুরু হলে তা ১৪ টাকা ৯০ পয়সা হতে পারে। এছাড়া সিএনজিতে প্রতি ঘনমিটারের বর্তমান দাম ৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৫১ টাকা ৭০ পয়সা হতে পারে।
এছাড়া বাণিজ্যিক গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটারের বর্তমান দাম ১৭ টাকা ৪ পয়সার স্থলে ৩৫ টাকা হতে পারে। আর আবাসিক খাতে এক চুলার গ্রাহকের মাসিক বিল ৭৫০ থেকে বেড়ে প্রায় ১ হাজার টাকা, দুই চুলার গ্রাহকের বিল ৮০০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৫০ টাকা হতে পারে। তবে আবাসিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।
আপনার মন্তব্য লিখুন