তৈরি পোশাক খাতে সমঝোতায় দুর্নীতি

মার্কেট ট্রেন্ড বিডিডটকম রিপোর্ট
শুক্রবার , ১৫ জানুয়ারী ২০১৬

‘তৈরি পোশাক খাতের সরবরাহ ব্যবস্থার বিভিন্ন ধাপে অনিয়ম ও দুর্নীতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রায় নিয়মে পরিণত হয়েছে। উৎপাদন কারখানা, ক্রেতা, নিরীক্ষকসহ অংশীজনের মাঝে দুর্নীতির চর্চা বিদ্যমান। এসব দুর্নীতি কখনো জোর করে, আবার কখনো বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমঝোতামূলক।’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে তৈরি পোশাক খাতের দুর্নীতি ও অনিয়মের এ চিত্র উঠে এসেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ খাতে কার্যাদেশ পাওয়া থেকে শুরু করে উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায় পর্যন্ত ১৬ ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়। এর সঙ্গে জড়িত থাকেন কারখানার মালিক, মার্চেন্ডাইজার ও বিদেশি ক্রেতারা। এছাড়া পণ্যের মান, পরিমাণ ও কমপ্লায়েন্সের ঘাটতি ঘুষের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ( ১৪ জানুয়ারি) রাজধানিতে টিআইবির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার এ ফলাফল তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ইফতেখারুজ্জামান। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিনিয়র কর্মসূচি ব্যবস্থাপক শাহজাদা এম আকরাম ও সহকারী কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নাজমুল হুদা।

২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত গবেষণাটি করা হয়। বিদেশি ক্রেতা, বায়িং হাউস, কারখানার মালিক, শ্রমিক, কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষকসহ ৭০টি অংশীজন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণার তথ্য-উপাত্ত নেওয়া হয়।

গবেষণায় যে ১৬ ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা বলা হয়েছে, এর মধ্যে কার্যাদেশ পর্যায়ে চার ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়। এগুলো হলো ক্রেতার নির্ধারিত কমপ্লায়েন্স চাহিদা সম্পর্কে সন্তোষজনক প্রতিবেদন পাওয়ার অভিপ্রায়ে কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষককে ঘুষ দেওয়া; কার্যাদেশ পাওয়ার জন্য ছোট আকারের কারখানা কর্তৃপক্ষ মার্চেন্ডাইজারকে ঘুষ দেওয়া; কারখানার মালিকদের নকল কাগজপত্র তৈরি করা অথবা বিভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা এবং কারখানার মালিক বা সরবরাহকারী কর্তৃক ঘুষের বিনিময়ে ক্রেতা বা এর এজেন্টের ক্রয়ের সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করা হয়, যাতে ওই কারখানার পছন্দ অনুযায়ী কার্যাদেশ পাওয়া যায়।এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে নয় ও সরবরাহ পর্যায়ে তিন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়।