জ্বালানী তেলের দাম কমানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আজ রবিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ কথা জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলে যে লোকসান (ক্ষতি) দেওয়া হয়েছে, তা সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এখন দাম কমানোর বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের দাম কমতে কমতে এখন ৩৮ ডলারে নেমে এসেছে । দেশের ব্যবসায়ীরা তেলের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন। সরকার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি’র লোকসান সমন্বয়ের কথা বলেছে।
এদিকে আজ রবিবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। কেরোসিন, ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের দাম কমানোর পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের দামও সমন্বয় করার সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সিপিডি এই সুপারিশ করেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি একটি হিসাব দিয়ে বলেছে, জ্বালানি তেলের দাম গড়ে ১০ শতাংশ কমানো হলে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দশমিক ৩ শতাংশ বাড়বে। আর তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়বে দশমিক ৪ শতাংশ। ভোক্তা চাহিদা বাড়বে দশমিক ৬ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি কমবে দশমিক ২ শতাংশ। তবে সরকারের সঞ্চয় কমবে দশমিক ৪ শতাংশ।
সিপিডি বলছে, ক্রমাগত লোকসানের কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) এখন পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার ফলে গত অর্থবছরে বিপিসি ৫ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এ বছর তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকলে ১১ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করবে বিপিসি।
সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, তেলের দাম কমানো হলে ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা বেশি উপকৃত হবেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন