২০১৭ সালের প্রথম ছয় মাস শেষে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার হিসাব চূড়ান্ত করেছে অধিকাংশ ব্যাংক। নানা সমস্যার পরও বেশিরভাগ ব্যাংকেরই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।
পরিচালন মুনাফা প্রকাশের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি-নিষেধ থাকায় ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক চলতি ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ৩৬০ কোটি টাকা। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ৩৫০ কোটি টাকা।
এক্সিম ব্যাংক জুন পর্যন্ত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ৩২০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের প্রথম ছয়মাসে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২৫৫ কোটি টাকা।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক গত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ৩২৫ কোটি টাকা। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২২৯ কোটি টাকা।
বেসিক ব্যাংক চলতি বছরের ছয় মাস শেষে ১৯ কোটি ৮১ লাখ পরিচালন মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে এ ব্যাংকের লোকসান ছিল ৪৬ কোটি।
ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক গত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ২৪৩ কোটি টাকা। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ১৯৭ কোটি টাকা।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংক গত ৬ মাসে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছর ৬ মাসে তাদের মুনাফা হয়েছিল ৮৫৩ কোটি টাকা।
মুনাফা বেড়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংকেরও। গত ৬ মাসে ডাচবাংলা মুনাফা করেছে ৩৫০ কোটি টাকা।গত বছর ৬ মাসে তাদের মুনাফা হয়েছিল ২৮১ কোটি টাকা।
মুনাফা কমেছে ন্যাশনাল ব্যাংকের। ২০১৭ সালের গত ৬ মাসে ন্যাশনাল ব্যাংক মুনাফা করেছে ৪০৮ কোটি টাকা। গত বছর ৬ মাসে তাদের মুনাফা হয়েছিল ৫৮৫ কোটি টাকা।
এছাড়া গত ৬ মাসে অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে ব্যাংক এশিয়া ৩০৭ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক ২৬০ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২০৯ কোটি টাকা, যমুনা ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, মধুমতি ব্যাংক ৭৩ কোটি টাকা, মেঘনা ব্যাংক ৬৮ কোটি টাকা এবং সাউথ বাংলা ব্যাংক মুনাফা করেছে ৬৫ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা প্রকৃত (নীট) মুনাফা নয়। পরিচালন মুনাফা থেকে কর, প্রভিশন প্রভৃতি বাদ দিয়ে প্রকৃত মুনাফা হিসাব করা হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন