উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের পরিকল্পনা জমা দেয়ার নির্দেশ
করোনাকালীন ঋণ সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নিবিড়ভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য দুই পক্ষেরই একজন করে ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা প্রতি মাসেই একে অপরের সাথে পরামর্শমূলক বৈঠক করবেন এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর আজকেই প্রথম বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করলেন অধ্যাপক শিবলী। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যাতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেতে পারে সে বিষয়ে সহযোগিতামূলক নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আসতে পারে। সেপ্টেম্বরের আগে কোনো ব্যাংক নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করতে না পারলেও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে বিএসইসির চেয়ারম্যান জানান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কোনো ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে বিএসইসি সেই উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ, করোনা সংকটের কারণে গত ১২ মে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার সীমা বেঁধে দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। তাতে প্রস্তাবিত লভ্যাংশকে মূলধনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর মাসের আগে ওই লভ্যাংশ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন