পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’। এর অর্থ ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বিবেচনায় তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
ব্যাংকের সর্বশেষ নিরীক্ষিত-অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও হালনাগাদ অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাব বছরের প্রথম (জানুয়ারি-মার্চ) প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংকের অনিরীক্ষিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৫০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৫ পয়সা।
গতকাল বৃহষ্পতিবার ইসলামী ব্যাংক শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৭ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৩১ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
অন্তবর্তীকালিন আর্থিক বিবরণী অনুসারে গতকাল ২৩ জুন কোম্পানির পিই অনুপাত ছিল ১৩ দশমিক ৭।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় ইসলামী ব্যাংক। এরআগে ২০১৪ সালে দিয়েছে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ।
১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। রিজার্ভে আছে ৩ হাজার ১১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
ব্যাংকটির মোট শেয়ার ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৫৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১০ দশমিক ২৩, বিদেশী ১০ দশমিক ৮২, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ২ শতাংশ ও সরকারের কাছে শূণ্য দশমিক ০০১৩ শতাংশ শেয়ার।
আপনার মন্তব্য লিখুন