ভোগান্তিতে সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকরা

মার্কেট ট্রেন্ড বিডিডটকম রিপোর্ট
বুধবার , ০৬ জানুয়ারী ২০১৬

সোনালী ব্যাংকের সার্ভারের ক্রটি থাকায় টানা পঞ্চম দিনের মত ভোগান্তি পোহাতে হয় ব্যাংকের অনলাইন গ্রাহকদের। সমস্যা শুরু হওয়ার পঞ্চমদিনে আজ বুধবার দুপুরের পর লেনদেন স্বাভাবিক হয়েছে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সার্ভার সমস্যায় ব্যাংকের পাঁচ শতাধিক অনলাইন শাখায় লেনদেনে চরম সমস্যা দেখা দেয়। যার প্রভাবে অনলাইনের বাইরের শাখাগুলোর লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকে সার্ভারের ক্রুট দেখা দেয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও ওই দিন বন্দর এলাকা ও ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী অনেক শাখা খোলা থাকায় বিষয়টি সে দিনই প্রধান কার্যালয়ের নজরে আনা হয়।

চলতি বছরের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সব শাখা কোর ব্যাংকিং সলিউশন বা সিবিএস নামের সফটওয়্যারের আওতায় নিয়ে আসার কথা। তারই অংশ হিসাবে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির ৫০২টি শাখা অনলাইনের আওতায় আসে। ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ ও শহরাঞ্চলের প্রায় সব শাখায় ইতিমধ্যে অনলাইনের আওতায় চলে এসেছে। ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একাধিক শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিবিএসের আওতায় থাকা অনলাইন শাখা গত পাঁচ দিনে ঠিক মত কাজ করতে পারেনি। বিভিন্ন শাখা থেকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রিত সার্ভারে ঢোকা যায়নি। আবার অনেকে ঢুকে চেক ডেবিট করলেও শেষ পর্যন্ত পাশ দিতে না পারায় গ্রাহককে টাকা দিতে পারেনি। সার্ভারের আওতায় থাকা কম্পিউটার গুলো দিনের বেশিরভাগ সময়ই হ্যাং হয়ে ছিল। ফলে টাকা জমা, উত্তোলন, এলসি খোলা, এলসির মূল্য পরিশোধ, ব্যালেন্স জানাসহ কোনো ধরনের সেবা নিতে পারেনি। এসব শাখার বাইরের ৭০২টি শাখা থেকে টাকা জমা ও উত্তোলন করা গেলেও টাকা স্থানান্তর করা যায়নি। কেননা, এনি ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং (এবিবি) নামের সফটয়্যারের মাধ্যমে সব শাখার টাকা স্থানান্তর কার্যক্রম পরিচালিত হয় যা সিবিএস সফটওয়্যারের সঙ্গে যুক্ত। সব মিলিয়ে বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের সব চেয়ে বড় এ ব্যাংকের গ্রাহকরা।