spot_img
HomeUncategorizedডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার কোটি টাকা

ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার কোটি টাকা

ভালো নেই দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারের দর কমতে কমতে তলানীতে এসে ঠেকেছে। কিন্তু বাজার কোনভাবেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে না। গত সপ্তাহেও শেয়ারবাজারে লেনদেনকৃত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির) অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাও বিনিয়োগকারীদের ভাবিয়ে তুলেছে।


বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলেছেন, বাজারের বৃহত্তর স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চলমান সংকট দ্রুত সমাধান করতে হবে। তারা বলেন, এমনিতেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই, এরমধ্যে এই ঘটনা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। বিএমবিএ বলেছে, প্রায় এক বছর ধরে শেয়ারবাজারে নতুন অর্থের যোগান না থাকায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিএসইসিতে অস্থিরতার কারণে বাজারে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে কর্মকর্তাদের মাঝে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনা বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সৃষ্টি করেছে।


বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনকৃত কোম্পানির মধ্যে মাত্র দাম বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ২৮৯টির। আর ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৪৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ। ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ৬ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ।


মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫১৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৫৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা ২৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ডিএসই তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ২১৭ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।


শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা হয় দেশের শীর্ষ একটি ব্রোকারেজ হাউজের এক বিনিয়োগকারীর সাথে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিনিয়োগকারী বলেন, অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিএসইসি পুর্নগঠন করা হলে আমরা আশা করেছিলাম, বাজার খুব তাড়াতাড়ি ভালো হবে। কিন্তু তা হয়নি। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজার সংস্কারে যেসব উদ্যেগ নিয়েছে তা বাজারের জন্য ভালো। কিন্তু বাজারের উন্নয়নে দ্রুত সংস্কার করতে হবে। কারণ, আমরাতো আর বাজারে টিকে থাকতে পারছি না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

Recent Comments